মানচিত্র, মানচিত্রের ইতিহাস, মানচিত্রের প্রকারভেদ

মানচিত্র
মানচিত্র

মানচিত্র

সাধারণভাবে মানচিত্র বলতে ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবিকে বোঝায়।

দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং ব্যবহার করে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তুসমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে মানচিত্র (Map) বলে।

অর্থাৎ,

কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র।

 

মানচিত্রের ইতিহাস

খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া যায় ব্যাবিলনের উত্তরে গাথুর শহরের ধ্বংশাবশেষে। এর নাম ছিল ইন্ডিগো মুন্ডি। তবে সেটি ছিল শুধুই ব্যাবিলনের মানচিত্র। প্রথম পৃথিবীর মানচিত্র আঁকার চেষ্টা করেন অ্যানাঙ্গিম্যান্ডার। পরবর্তীতে হেক্টিয়াস অব মিলেটাস, রাতোসথিনেস প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ মানচিত্রকে আরও উন্নত করেন। সর্বশেষ ১৫০ খ্রিস্টপূর্বে টলেমি আদিযুগের সবশেষ মানচিত্র একেছিলেন যা দীর্ঘদিন ভবিষ্যৎ মানচিত্রকরদের অনুপ্রাণিত করেছে।

 

মানচিত্রের প্রকারভেদ

মানচিত্রকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যাায়। যেমন:

কার্যভিত্তিক মানচিত্র দুই প্রকার। যথা-

১. প্রাকৃতিক মানচিত্র এবং

২. সাংস্কৃতিক মানচিত্র

স্কেলভিত্তিক মানচিত্র দুই প্রকার। যথা-

১. বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র এবং

২. ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র

উল্লেখ্য, স্কেল বলতে মানচিত্রের দুটি স্থানের দুরত্ব এবং ভূমিতে ঐ স্থান দুটির প্রকৃত দৃরত্বের অনুপাতকে বোঝায়। যেমন: মানচিত্রের স্কেল ১: ১০,০০০ বলতে বুঝায় যখন মানচিত্রের দুরত্ব ১ সেমি তখন ভূমির দুরত্ব ১০,০০০ সেমি।

সাধারণত সুক্ষ্ম কাজে বৃহৎ স্কেল মানচিত্র ব্যবহার করা হয়। যেমন: নৌচলাচল সংক্রান্ত নাবিকদের চার্ট, বিমানচলাচল সংক্রান্ত বৈমানিকদের চার্ট, ক্যাডাস্ট্রাল বা মৌজা মানচিত্র প্রভৃতি বৃহৎ স্কেল মানচিত্র।

আবার ভূ-চিত্রাবলীর মানচিত্র ও দেয়াল মানচিত্র ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র।

সম্পর্কিত অনুচ্ছেদসমূহ