অর্ধায়ু
কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ যে সময়ে তার মোট পরমাণুর অর্ধেক পরিমাণ ক্ষয় করে, তাকে ঐ পদার্থের অর্ধায়ু বলে।
অর্ধায়ুকে T1⁄2 দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
উদাহরণসরূপ কার্বন-১৪ আইসোটোপের অর্ধায়ু ৫৭৩০ বছর। অর্থাৎ ১ কেজি ভরের কার্বন-১৪ ৫৭৩০ বছর পর ৫০০ গ্রামে পরিণত হবে। আরও ৫৭৩০ বছর; অর্থাৎ মোট ১১৪৬০ বছর পর পদার্থটির ভর হবে ২৫০ গ্রাম। প্রতি ৫৭৩০ বছর পর পর এটি তার অর্ধেককে ক্ষয় করবে; কিন্তু কখনই নিঃশেষ হবে না।
অর্ধায়ুর ব্যবহার:
১. নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ্যা ও তেজস্ক্রিয়তা: তেজস্ক্রিয় মৌলগুলোর ক্ষয়ের হার নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়, যেমন ইউরেনিয়াম-২৩৮ বা কার্বন-১৪।
২. কার্বন ডেটিং (Carbon Dating): প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রাচীন বস্তু বা জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণে কার্বন-১৪ এর অর্ধায়ু ব্যবহার করা হয়।
৩. ঔষধ ও চিকিৎসা: রেডিওআইসোটোপ থেরাপিতে, যেমন ক্যান্সার চিকিৎসায় আয়োডিন-১৩১ বা টেকনেটিয়াম-৯৯ এর অর্ধায়ু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪. পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপন্ন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য কতদিন বিপজ্জনক থাকবে তা নির্ধারণ করতে অর্ধায়ু ব্যবহার করা হয়।
৫. জীববিদ্যা ও পরিবেশবিদ্যা: তেজস্ক্রিয় পদার্থের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণ নিরীক্ষণে।