বিজ্ঞান:
কোন কিছু জানাকে বলা হয় জ্ঞান।
‘জ্ঞান’ শব্দটির সাথে ‘বি’ উপসর্গ যোগ করে ‘বিজ্ঞান’ শব্দটি গঠন করা হয়েছে। ‘বিজ্ঞান’ শব্দের অর্থ ‘বিশেষভাবে জানা’।
যেমন ধরুন, আপনি জানেন যে পৃথিবী গোলাকার। তবে এই তথ্যটি আপনি কখনো প্রমাণ করতে পারেননি। বরং আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে পৃথিবী সমতল। খালি চোখে তাকালে পৃথিবীকে গোলাকার নয়; সমতলই দেখা যায়। লোকে বলে পৃথিবী গোলাকার; সেখান থেকেই আপনার ধারণা হয়েছে যে পৃথিবী গোলাকার।
এবার আপনার ইচ্ছে হলো এই উক্তিটি প্রমাণ করার। আপনি একটি রকেটকে মহাকাশে পাঠিয়ে দিলেন। আর তার সাথে পাঠালেন একটি ক্যামেরা। যা প্রতি মুহূর্তে পৃথিবীর ছবি তুলে আপনার কাছে পাঠাবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্যামেরা গোলাকার পৃথিবীর ছবি পাঠাবে। আপনি প্রমাণ করতে পারবেন পৃথিবী গোলাকার।
এভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানাকে বলা হয় বিশেষভাবে জানা। আর এটাই বিজ্ঞান।
অর্থাৎ,
“পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির মাধ্যমে কোন কিছু জানাকে বলা হয় বিজ্ঞান।”
গবেষণা:
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোন কিছু জানার চেষ্টাই হলো গবেষণা।
উপরের উদাহরণে মহাকাশে রকেট পাঠানো, মহাকাশ থেকে ক্যামেরার পৃথিবীতে ছবি পাঠানো এই কাজগুলোই হচ্ছে গবেষণা।
বিজ্ঞানী:
যিনি গবেষণা করেন তিনিই বিজ্ঞানী।
পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার বা ল্যাবরেটরি:
যেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা তথা গবেষণা করা হয় তাকে বলা হয় পরীক্ষাগার।