জাতীয় প্রতীক:
কোন সত্তার নিজস্ব প্রতীক হিসেবে যে প্রতীক একটি জাতীয় সম্প্রদায়কে বিশ্বের কাছে প্রকাশ করে তাকে জাতীয় প্রতীক বলে।
জাতীয় প্রতীকের উদ্দেশ্য হলো জাতির জনগণ, মূল্য, লক্ষ্য বা ইতিহাসের চাক্ষুষ, মৌখিক বা আইকনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে জনগণকে একত্রিত করা। এই প্রতীকগুলি প্রায়শই দেশপ্রেম বা উচ্চাকাঙ্ক্ষী জাতীয়তাবাদের উদযাপনের অংশ হিসাবে চালু করা হয় (যেমন স্বাধীনতা, স্বায়ত্তশাসন বা পৃথকীকরণ আন্দোলন) এবং জাতীয় সম্প্রদায়ের সকল জনসাধারণকে অন্তর্ভুক্ত এবং প্রতিনিধিত্ব করে নকশা করা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক:
এই হলো বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক।

বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল। ফুলটির দুপাশে ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের অর্থ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় বিদ্যমান
- পানি, ধান ও পাট প্রতীকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হয়েছে বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি।
- জলজ প্রস্ফুটিত শাপলা হলো অঙ্গীকার, সৌন্দর্য ও সুরুচির প্রতীক।
- তারকাগুলোতে ব্যক্ত হয়েছে জাতির লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা।
ইতিহাস:
১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় প্রতীক ও বিভিন্ন মনোগ্রাম তৈরী করতে বাংলাদেশ সরকার শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানেকে দায়িত্ব দেয়। মোহাম্মদ ইদ্রিস ও শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজনকে এই কাজগুলো তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তিতে মোহাম্মদ ইদ্রিসের আঁকা ভাসমান শাপলা ও শামসুল আলমের দুই পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পাটপাতা ও চারটি তারকা অংশটি মিলিয়ে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক।
এই প্রতীক আমাদের দেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি, সৌন্দর্য ও সুরুচি এবং জাতির লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক।