ভারতীয় উপমহাদেশ তথা ভারতবর্ষ বলতে আমরা যে ভূখন্ডটিকে বুঝি তা বিশাল এক ভূখন্ড। এর ইতিহাসও বেশ প্রাচীন। শিকারী যুগে এখানে মানুষের বসবাসের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রস্তর যুগের শেষের দিকে নগর সভ্যতারও নিদর্শন পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে সিন্ধু সভ্যতার মতো উন্নত সভ্যতার নিদর্শন। তারপর বৈদিক যুগ, ষোল মহাজনপদ, একের পর এক সাম্রাজ্য, মুসলিম শাসন, ব্রিটিশ শাসন সবশেষে ভারত ও পাকিস্তান দেশ। পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের।
অর্থাৎ ভারতবর্ষের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস; আর বাংলাদেশের ইতিহাস ভারত ভাগ পর্যন্ত মোটামুটি একই। উল্লেখ্য এখানে বাংলা বলতে বুঝানো হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু রাজ্য যেমন পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা এই অঞ্চলকে। এখানে বাস করা লোকদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা থেকে বাংলাদেশ অংশটি আলাদা হয় মূলত ভারত বিভাগের সময়। তাই বাংলাদেশ শব্দটির ব্যবহার ভারত বিভাগ অংশ থেকেই করা হবে। এর পূর্ব পর্যন্ত অধ্যয়নকারী বাংলা বলতে এই সমগ্র অঞ্চলটিই বুঝে নেবেন। আমরা এই অঞ্চলটিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ইতিহাস পড়ব।
আলোচনার সুবিধার্থে ইতিহাসটিকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
- প্রাচীন যুগ
- মধ্য যুগ এবং
- আধুনিক যুগ।
বাংলার ইতিহাসের ক্ষেত্রে মানব সভ্যতার সূচনা থেকে মৌর্য সাম্রাজ্যের পূর্ব (খ্রি. পূ. ৩২১ অব্দ) পর্যন্ত সময়কালকে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয়। কারণ সে সময়কার কোন লিখিত নিদর্শন পাওয়া যায়নি। জীবাশ্ম বা প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় কেবল অনুমান করা হয়েছে।
তারপর অর্থাৎ মৌর্য সাম্রাজ্য থেকে মুসলিমদের বঙ্গ বিজয় (১২০৪ খ্রি.) পর্যন্ত সময়কে প্রাচীন যুগ এবং
তারপর থেকে ব্রিটিশ শাসনের পূর্ব (১৭৫৭খ্রি. অষ্টাদশ শতাব্দী) পর্যন্ত সময়কে আধুনিক যুগ শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে।