গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
অনুচ্ছেদ ১৫
মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদনশক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায়:
(ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা;
(খ) কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার;
(গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং
(ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার।
রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব:
- জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ; তথা-খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার
- কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করে যুক্তিসঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার
- যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার এবং
- সামাজিক নিরাপত্তা; তথা বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার
নিশ্চিত করা।
সরকারি স্কুল-কলেজ, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ, পার্ক নির্মণ, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি কার্যক্রম করতে রাষ্ট্র বাধ্য এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। আর এগুলোই মৌলিক প্রয়োজন। তবে এসব কার্যক্রম অবশ্যই পরিকল্পিত ও যুক্তিসংগত হতে হবে।
চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তিগত বেকারত্ব সৃষ্টি করছে। এর ফলে যন্ত্র কাজ করে দিচ্ছে ও মানুষ কাজ হারাচ্ছে।
যেসব রাষ্ট্র সামাজিক নিরাপত্তা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করে তাদের কল্যান রাষ্ট্র বলে।
জীবনধারণ তত্ত্ব ও লৌহ নিয়ম:
শ্রমিকের কোন রকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু অর্থের প্রয়োজন সেটুকুই মজুরি।
মজুরি হার বেশি হলে জনসংখ্যা বাড়ে। এতে অধিক লোক শ্রমবাজারে যুক্ত হয়ে মজুরিকে আবার জীবনধারণের স্তরে নামিয়ে আনে।
বিপরীতক্রমে মজুরি হার কম হলে জনসংখ্যা কমে। কারণ শ্রমবাজারে লোক কম হলে মজুরিকে আবার জীবনধারণের স্তরে উঠিয়ে দেয়।
মার্ক্সবাদে এই নিয়মকে লৌহ নিয়ম বলা হয়েছে।