আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন

আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

 

অনুচ্ছেদ ২৫

আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন

জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের ও জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা-এই সকল নীতি হইবে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি এবং এই সকল নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র

(ক) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিপ্রয়োগ পরিহার এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের জন্য চেষ্টা করিবেন;

(খ) প্রত্যেক জাতির স্বাধীন অভিপ্রায় অনুযায়ী পথ ও পন্থার মাধ্যমে অবাধে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনের অধিকার সমর্থন করিবেন; এবং

(গ) সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন।

 

 

 

পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি:

কোন রাষ্ট্রের অন্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক কেমন হবে তা যে সকল নীতির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় তাকে বলে পররাষ্ট্রনীতি।

পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে রাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ নেয় তাই কূটনীতি।

 

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি/পররাষ্ট্রনীতি:

  • জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা,
  • অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা,
  • আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং
  • আন্তর্জাতিক আইনের ও জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা

 

বাংলাদেশের কূটনীতি:

  • আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিপ্রয়োগ পরিহার এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের জন্য চেষ্টা করা;
  • প্রত্যেক জাতির স্বাধীন অভিপ্রায় অনুযায়ী পথ ও পন্থার মাধ্যমে অবাধে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনের অধিকার সমর্থন করা; এবং
  • সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করা।

 

এসব নীতির কারণে বাংলাদেশে ন্যামের সদস্য;

  • সিটিবিটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং
  • ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরায়েলের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক স্থাপন করেনি।

 

সাম্রাজ্যবাদ:

অন্য রাজ্যের ভূমি দখল করে সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি করা। পূর্বে মোগল শাসকদের বাংলা দখল করে রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটানো সাম্রাজ্যবাদের উদাহরণ।

 

ঔপনিবেশিকতাবাদ:

কোন রাজ্যের রাজাকে নিজের অধীনে এনে অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করা। মীর জাফরকে ক্ষমতায় বসিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলা শোষণ করা ঔপনিবেশিকতার উদাহরণ।

এ সমস্যার সমাধান করতে স্বাধীন রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্বের ধারণা আসে।

 

নব্য ঔপনিবেশিকতা:

বহুজাগতিক কোম্পানির মাধ্যমে পুঁজি নিয়ে যাওয়া। কোকা কলা বা গ্রামীণফোনের কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে যে অর্থ নিচ্ছে তা নব্য ঔপনিবেশিকতার উদাহরণ।

সম্পর্কিত অনুচ্ছেদসমূহ