গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
অনুচ্ছেদ ১৩
মালিকানার নীতি
উৎপাদনযন্ত্র, উৎপাদনব্যবস্থা ও বন্টনপ্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হইবেন জনগণ এবং এই উদ্দেশ্যে মালিকানা-ব্যবস্থা নিম্নরূপ হইবে:
(ক) রাষ্ট্রীয় মালিকানা, অর্থাৎ অর্থনৈতিক জীবনের প্রধান প্রধান ক্ষেত্র লইয়া সুষ্ঠু ও গতিশীল রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারী খাত সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রের মালিকানা;
(খ) সমবায়ী মালিকানা, অর্থাৎ আইনের দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে সমবায়সমূহের সদস্যদের পক্ষে সমবায়সমূহের মালিকানা; এবং
(গ) ব্যক্তিগত মালিকানা, অর্থাৎ আইনের দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে ব্যক্তির মালিকানা।
মানব সমাজের ঊষাকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত উৎপাদন প্রক্রিয়াকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. আদি সাম্যবাদী সমাজ
২. দাসব্যবস্থা
৩. সামন্তবাদী ব্যবস্থা
৪. পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং
৫. সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
এদের মধ্যে দাসব্যবস্থা, সামান্তবাদী ও পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সম্পত্তিতে ব্যক্তিমালিকানা থাকে। আদিম সাম্যবাদী ও সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকে রাষ্ট্রীয় মালিকানা।
বাংলাদেশ ব্যক্তি, রাষ্ট্র ও সমবায় তিন ধরণের মালিকানাকেই সমর্থন করে।
সমাজতান্ত্রিক ধারায় এরূপ মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গৃহীত হয়েছে।