স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধানের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’। এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ হচ্ছে:
১. এটি একটি লিখিত দলিল।
২. এটি প্রস্তাবনা দিয়ে শুরু ও তফসিল দিয়ে শেষ হয়েছে।
৩. এতে ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ, ৭টি তফসিল রয়েছে।
৪. সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাম (সাংবিধানিক নাম )“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ”।
৫. সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।
৬. এই সংবিধানই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এর সাধে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোন আইন প্রণয়ন করা যাবে না।
৭. সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে উল্লেখ করা হয়েছে।
৮. সংবিধানে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগকে পৃথক করা হয়েছে।
৯. সংবিধানে আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে কতিপয় মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া যাবে।
১০. সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে রাষ্ট্রপ্রধানরূপে সকল ব্যক্তির উর্ধ্বে স্থান দেওয়া হয়েছে।
১১. সংবিধান বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করেছে। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের কোন অঙ্গরাজ্য থাকবে না। এক কক্ষবিশিষ্ট একটি আইনসভা থাকবে; যা ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে।
১২. সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বিদ্যমান থাকবে।
১৩. বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়। সংসদ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে তা পরিবর্তন করা যাবে।
১৪. সংবিধানে বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে বাংলা পাঠ গ্রহণযোগ্য হবে।
বাংলাদেশের সংবিধান এখনও পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিচ্ছবিরূপে এটি পৃথিবীর এক অনন্য দলিল।