সংবিধান
সংবিধান কী
কোন রাষ্ট্রের প্রকৃতি, জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক, রাষ্ট্রের অঙ্গসমূহ, তাদের কার্যাবলি, তাদের মধ্যে সম্পর্ক, নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় সংবলিত দলিলই সংবিধান। অর্থাৎ কোন রাষ্ট্র সম্পর্কিত
বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ইতিহাস
অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান: ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তখন দেশ ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলে। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ১০ই
বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ
স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধানের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’। এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ
গণপরিষদ ও আইন পরিষদের মধ্যে পার্থক্য
আইন বিভাগের সদস্যদের নিয়ে গঠিত পরিষদকে আইন পরিষদ বলে। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। জাতীয় সংসদের সদস্যদের নিয়ে আইন পরিষদ গঠিত হয়; যারা সাধারণত এম.পি.
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের সূচিপত্র
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের সূচিপত্র: প্রস্তাবনা প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র ০১-০৭ দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ০৮-২৫ তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
সংবিধান পড়ার নিয়ম
বাংলাদেশের সংবিধানের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’। বাংলাদেশের সংবিধানে ১১টি অধ্যায় রয়েছে। সংবিধানের কয়েকটি অধ্যায়কে একাধিক পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৩টি পরিচ্ছেদ রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা
প্রস্তাবনা: প্রতিটি আইনের শুরুতেই প্রস্তাবনা থাকে। একে ঘোষণা বলা যায়। প্রস্তাবনার মাধ্যমে সংবিধানের মৌল নীতিমালা, মূলনীতি, রাষ্ট্রের লক্ষ্য, সংবিধান প্রণেতাদের আদি-ইচ্ছা ইত্যাদি জানা যায়। প্রস্তাবনাকে
গণতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র, গণপ্রজাতন্ত্র কী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০১ প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ একটি একক স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে পরিচিত হইবে। স্বাধীন রাষ্ট্র: কোন একটি
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০২ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত হইবে (ক) ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা-ঘোষণার অব্যবহিত পূর্বে যে
রাষ্ট্রধর্ম
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০২ ক রাষ্ট্রধর্ম প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করবে।
রাষ্ট্রভাষা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৩ রাষ্ট্রভাষা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। রাষ্ট্রভাষা: কোন রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাজ তথা কোর্ট, সংসদ ইত্যাদি কাজ পরিচালনায় যে ভাষা ব্যবহৃত
জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৪ জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক (১) প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা”র প্রথম দশ চরণ। (২) প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা
জাতির পিতার প্রতিকৃতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৪ক. জাতির পিতার প্রতিকৃতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল
সংবিধানের প্রাধান্য
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৭ সংবিধানের প্রাধান্য (১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও
সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৭ ক সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ (১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক
সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৭ খ সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল
মূলনীতিসমূহ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৮ মূলনীতিসমূহ (১) জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা- এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য
জাতীয়তাবাদ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ০৯ জাতীয়তাবাদ ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১০ সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি মানুষের উপর মানুষের শোষণ হইতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজলাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১১ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১২ ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য (ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা, (খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে
মালিকানার নীতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৩ মালিকানার নীতি উৎপাদনযন্ত্র, উৎপাদনব্যবস্থা ও বন্টনপ্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হইবেন জনগণ এবং এই উদ্দেশ্যে মালিকানা-ব্যবস্থা নিম্নরূপ হইবে: (ক) রাষ্ট্রীয়
কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৪ কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে মেহনতী মানুষকে-কৃষক ও শ্রমিককে-এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ
মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৫ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদনশক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও
গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৬ গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে
অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৭ অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা রাষ্ট্র (ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর
জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৮ জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা (১) জনগণের পুষ্টির স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং বিশেষতঃ
পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৮ ক. পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং
সুযোগের সমতা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৯ সুযোগের সমতা (১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন। (২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক
অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২০ অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম (১) কর্ম হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয়, এবং “প্রত্যেকের নিকট
নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২১ নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য (১) সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিকদায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয়
নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২২ নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ হইতে বিচারবিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন। সরকারের তিনটি বিভাগ।
জাতীয় সংস্কৃতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৩ জাতীয় সংস্কৃতি রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং জাতীয় ভাষা, সাহিত্য ও শিল্পকলাসমূহের
উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৩ ক. উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক
জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৪ জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমন্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থান-সমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে
আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৫ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা,