এরশাদের শাসনামলে সংবিধান সংশোধন

এরশাদের শাসনামলে সংবিধান সংশোধন
এরশাদের শাসনামলে সংবিধান সংশোধন

এরশাদের শাসনামলে সংবিধান সংশোধন

 

ষষ্ঠ সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৮১।

১৯৮১ সালের ৮ জুলাই গৃহীত হয় ও ৯ জুলাই রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে।

 

কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণে করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুর পর উপরাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন। তৎকালীন বিএনপি রাষ্ট্রপতির পদে আব্দুস সাত্তারকে মনোনয়ন দেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকে কেউ রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। ফলে সংশোধনীর প্রয়োজন হয়।

এ সংশোধনের মাধ্যমে বলা হয় রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পদকে প্রজাতন্ত্রের কোন লাভদায়ক পদ বলে গণ্য করা হবে না।

ফলে উপরাষ্ট্রপতি পদে বহাল থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিতকরণ হয়।

 

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংশোধনী জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান উত্থাপন করেন।

 

সপ্তম সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৮৬।

আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বিচারপতি কে এম নুরুল ইসলাম উত্থাপন করেন।

১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর গৃহীত হয়।

 

১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সামরিক আইন বলবৎ থাকাকালীন সময়ে প্রণীত সব ফরমান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের আদেশ, নির্দেশ ও অধ্যাদেশসহ অন্যান্য আইন অনুমোদন দেওয়া হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে।

 

৫ম সংশোধনীর মতো এটিও বাতিল ঘোষণা করা হয়।

২৬ আগস্ট ২০১০ হাইকোর্ট বিভাগ এবং

১৬ মে ২০১০ আপিল বিভাগ এটি বাতিল ঘোষণা করে।

 

অষ্টম সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৮৮।

সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ উত্থাপন করেন।

১৯৮৮ সালের ৭ জুন গৃহীত হয়।

 

এই সংশোধনীতে-

  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম (অনুচ্ছেদ ২ক) করা হয়।
  • ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের ৬টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়।
  • ঢাকা (Dacca থেকে Dhaka) ও বাংলা (Bangali থেকে Bangla) শব্দের ইংরেজি বানান ঠিক করা হয়।

 

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১৯৮৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ মৌল কাঠামোর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে বাতিল ঘোষণা করে। তবে অন্য পরিবর্তনগুলো এখনও বহাল আছে।

 

নবম সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৮৯।

সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ উত্থাপন করেন।

১৯৮৯ সালের ১০ জুলাই গৃহীত হয় ও ১১ জুলাই রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে।

 

এ সংশোধনীতে-

  • রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সাথে একই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা
  • রাষ্ট্রপতি পদে একই ব্যক্তির দ্বায়িত্ব পালন পর পর দুই মেয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা
  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রতি ৫ বছর পর পর অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়।

 

দশম সংশোধনী:

সংবিধান আইন, ১৯৯০।

আইন ও বিচারমন্ত্রী হাবিবুল ইসলাম উত্থাপন করেন।

১৯৯০ সালের ১২ জুন গৃহীত হয় ও রাষ্ট্রপতি ২৩ জুন স্বাক্ষর দেন।

 

রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩(২) অনুচ্ছেদের বাংলা ভাষ্য সংশোধন করা হয়।

নারীদের জন্য সংসদে আসন ১৫ থেকে ৩০ এ উন্নীত করে তার মেয়াদ ১০ বছর বাড়ানো হয়।

 

সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সংশোধনী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে উত্থাপন করা হয়।

সম্পর্কিত অনুচ্ছেদসমূহ