গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে দশম ভাগে ১৪২ নং অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আইনের খসড়া প্রস্তাবকে বিল বলে। বিল সংসদে উত্থাপন করার পর তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন সাপেক্ষে বিলকে আইনে পরিণত করার জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন এর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সংবিধান সংশোধন আইন প্রণয়নের চেয়ে একটু জটিল।
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনের নিয়ম:
- সংবিধান সংশোধন তথা সংবিধানের কোন বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের জন্য আনীত বিলে বিধানটি সম্পর্কে স্পষ্টরূপে উল্লেখ থাকতে হয়। তারপর তা নিয়ে সংসদে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
- সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদন সাপেক্ষে বিলটিকে সম্মতিদানের জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করা হয়।
- রাষ্ট্রপতি সাত দিনের মধ্যে বিলটি অনুমোদন করেন। যদি তিনি সম্মতি না দেন তবে সাত দিন পেড়িয়ে গেলে তা পাশ হয়েছে বলে গণ্য করা হয়।
- সংবিধান সংশোধনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন হয়। এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়।
উল্লেখ্য সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭খ তে বলা হয়েছে যে,
“সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে যাই থাকুক না কেন,
- সংবিধানের প্রস্তাবনা,
- প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ,
- দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ,
- নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদের বিধানবলী সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং
- একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ
- সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদের বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোন পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হবে।”
সংবিধানের সংশোধনী:
৮ জুলাই ২০১৮ সংবিধান সর্বশেষবার সংশোধন করা হয়েছিল। এটি ছিল সপ্তদশতম সংশোধন। বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ।