মূল পাতা

0 +
বিষয়
0 +
অধ্যায়
0 +
অনুচ্ছেদ

জনপ্রিয় অনুচ্ছেদসমূহ

project 5d es

আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লক্ষ বছর পূর্বে মানুষের জন্ম হয়। আর আধুনিক মানুষ অর্থাৎ আমাদের জন্ম হয় ২ লক্ষ বছর পূর্বে কোন একটা সময়ে; আফ্রিকায়। আজ থেকে ৬০ হাজার বছর পূর্বে আধুনিক মানুষ কথা বলতে শেখে। এর পূর্বে কেউ তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারত না। অর্থাৎ তখন জ্ঞানের কোন প্রবাহ না থাকায় আমরা তাকে বলতে পারি “জিরো ডায়মেনশন (0D) এডুক্যাশন সিস্টেম”।


মানুষ কথা বলা শেখার পর তার অভিজ্ঞতা তথা জ্ঞান অন্যকে শেখাতে পারত। অর্থাৎ তখন ভাষা এবং কিছু আকার ইঙ্গিতের মাধ্যমে জ্ঞানের প্রবাহ সম্ভব ছিল। আমরা তাকে বলতে পারি “ওয়ান ডায়মেনশন (1D) এডুক্যাশন সিস্টেম”। মানুষকে শুনে শুনেই জ্ঞান লাভ করতে হতো। অর্থাৎ জ্ঞান লাভের জন্য স্মৃতির উপর নির্ভর করতে হতো।


আনুমানিক পাঁচ হাজার বছর পূর্বে মানুষ লিখতে শেখে। স্মৃতির উপর চাপ কমে। মানুষ কাগজে লিখে যেতে পারত তাদের অভিজ্ঞতার কথা। পরবর্তীতে যে কেউ তা পড়ার মাধ্যমে শিখতে পারত। আমরা তাকে বলতে পারি “টু ডায়মেনশন (2D) এডুক্যাশন সিস্টেম”। লেখা ও ছবি ছিল সে পদ্ধতিতে জ্ঞান প্রবাহের মাধ্যম।


বিংশ শতাব্দীতে ডিজিটাল স্ক্রিনের আবিষ্কার জ্ঞানের প্রবাহকে আরও সহজ করে দেয়। কাগজের বই রূপান্তরিত হয় ডিজিটাল স্ক্রিনের পর্দায়। মানুষকে আর লাইব্রেরিতে যেতে হয় না। জ্ঞান প্রবাহের এ ব্যবস্থাকে আমরা বলতে পারি “থ্রি ডায়মেনশন (3D) এডুক্যাশন সিস্টেম”।


তারপর প্রযুক্তির আরও এক ধাপ উন্নতি হয়। লেখাগুলো নাচতে শেখে। ছবিও তার স্থান পরিবর্তন করতে শেখে। শুরু হয় নতুন এক যাত্রা। মানুষ আরও সহজে বুঝে যায় সবকিছু। বলছি এনিম্যাশনের কথা। এনিম্যাশনভিত্তিক জ্ঞান প্রবাহের এ ব্যবস্থাকে আমরা বলব “ফোর ডায়মেনশন (4D) এডুক্যাশন সিস্টেম”।


কিন্তু এখন সময় এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থায় আর এক ধাপ পরিবর্তন ঘটানোর। আর পড়ে বা দেখে নয়; এখন শিখতে হবে বাস্তব দেখে দেখে। অর্থাৎ কম্পিউটারে এমন এক জগৎ তৈরি করতে হবে যেখানে শিক্ষার্থীরা কোন বস্তু বা ঘটনা যেমন তেমনটা দেখে শিখতে পারবে। আর এ ব্যবস্থার নাম হবে “ফাইভ ডায়মেনশন (5D) এডুক্যাশন সিস্টেম”।

উদাহরণসরূপ আমরা খাদ্য খাওয়ার পর কীভাবে তা পরিবর্তিত হয় এবং আমাদের রক্ত মাংস গঠন করে তা পড়ে বা ছবি দেখে নয়; গ্রাফিক্সের মাধ্যমে মানুষ বানিয়ে তা দেখানো হবে। এতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবের সাথে পরিচিত হতে পারবে।


উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা চালু করা এখন সময়ের দাবি।

এই ওয়েব সাইটে আমি সে চেষ্টাই করব। তাই এই পরিকল্পনার নাম দিয়েছি “প্রজেক্ট ফাইভ ডি. ই. এস.”।


আপনাদের সাহায্য, সহযোগিতা, মতবাদ একান্তভাবে কাম্য।